ইমুর প্রেম
আসলে সেদিন ইমু তার শিমুর প্রতি রেগে ছিল। রাগ করাটাই স্বাভাবিক কারন ইমু তার শিমু কে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। মানুষের একটা স্বাভাবিক আচরন। যার প্রতি ভালোবাসা বেশি তার প্রতি অভিমান টাও বেশি।
সেদিন ইমু অফিস থেকে ফিরতে দেরি করে ছিল তাই সে তার উপহার পাই নি । সে বলে রাগ করতে হবে। ছেলেটাও পারে।
রাগ করবে না মানে। উপহার টাও সেরকম। যাবার বেলা দুই টা চুমু আর আসার বেলা আর দুই টা। আহা বেচারা ইমু আজকে পাইনি। আজকে ও ভীষণ রেগে রেগে আছে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না সে পাই। ততক্ষণ সে কথা বলবেনা।
বেডরুমের টিভি টাকেও আজকে রেহাই দেবে না ও। খাবার রেডি। শিমু তাকে বারবার ডেকেছে, তবুও ঘর থেকে বের হয়নি সে। সে তার উপহার না পেলে খাবে না।
শিমু টাও কম চালাক নয়। ও ভালো ভাবেই জানে ইমু কে কিভাবে ভোলানো যায়। ইমুর প্রত্যেক টি জিনিস এর ভাল মন্দ বোঝে ও। বোঝে বলেই তো বাবা রাজি না থাকা সত্ত্বেও ও ইমু কে বিয়ে করেছে। ওকে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ও ছাড়তে হয়েছে। শিমুর দুনিয়া বলতে এখন শুধু ইমু টাই।
খাবার সাজিয়ে শিমু ঘরে গেল... কি হল, খাবে না?
ইমু না শোনার ভান করে মুখ খানা ঘুরিয়ে নিল।
শিমু আবার বললো... চল খেয়ে নাও। আর যদি না খাও আমিও খাব না।
ইমু চট করে তার দিকে তাকালো। শিমুর করুন মুখটা তাকে রোজ কতল করে। আজও তাই ঘটলো। নিজেকে কোনো মতে সামলে আবার টিভি তে ধ্যান দিল সে।
আমিও খাব না। এই বলে শিমু তার পাশেই বসে পড়ল।
'আমি করো সাথে কথা বলতে চাই না। আর আমার খিদেও পাইনি' ইমু বলল।
চল খেয়ে নাও নইলে খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।
ইমু :আমি এখানে কাউকে চিনি না।
শিমু :ও রকম করো না প্লিজ, চলো।
ইমু বুঝেছে এবার সুযোগকে হাতছাড়া করা যাবে না। ও আবার বলল, আমার খীদে নেই বললাম তো।
শিমু বুঝেছে। মুশকিল ব্যপার। টিভির সামনে দাড়িয়ে ও আবার বলল, চল না গো!
বললাম তো আমার খীদে নেই। সামনে থেকে সরে যাও। - ইমু।
শিমু :সরব না, কি করবে?
ইমু :বলছি সরে যাও নইলে ভালো হবেনা।
শিমু :কি করবে বল। সরলাম না যাও।
ইমু সোফা থেকে উঠে এগিয়ে গিয়ে শিমু কে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে বলল, দেখতে চাও কি করব?
শিমু ভালো ভাবেই জানে সে এবার কি করতে চলেছে। তবুও ইমুর সাহসের সাথে ভালোবাসা কে বাড়িয়ে দিতে, হাসতে হাসতে শিমু বলল.., কি করবেন শুনি?
ইমু ওকে ভালোভাবে জড়িয়ে বুকের কাছে টেনে হালকা করে একটা চুমু খেল।
শিমু :এই, এটা কি হল?
ইমু :কি আবার, তোমার শাস্তি। তোমাকে বললাম না ভালো হবে না, তুমি শুনলে কই ?
শিমু:সে বলে তুমি আমাকে চুমু খাবে? ছাড় বলছি।
ইমু :ছাড়বো না যাও। কি করবে?
শিমু :ছাড়ো, নইলে ভালো হবে না।
ইমু :ছাড়বো না। পারলে ছাড়িয়ে নাও।
শিমু :দেখ, ভালো হবে না কিন্ত।
ইমু :আচ্ছা দেখাও?
শিমু এবার সত্যি সত্যি দেখাল। ওকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চুমু খেল যা চারটা কেন দশ টা চুমুর বরা বর।
ইমু :ওমা! কি শাস্তি দিলে গো। আমাকে আরো শাস্তি দাও।
শিমু মুচকি হেসে ওর বুকের উপর মুখ খানা রেখে
প্রেমে ভরা এক আলিঙ্গন করে জড়িয়ে ধরে বলল,,, তুমি আমার সাথে এমন কর কেন গো?
ইমু:ভাল লাগে তাই।
শিমু :আমাকে বিরক্ত করতে ভাল লাগে বুঝি?
ইমু :কই না তো। তোমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরতে ভালো লাগে।
হালকা হেসে.,... শিমু বলল: আমাকেও ভালো লাগে এমন শাস্তি দিতে।
ইমু :তুমি যদি এইভাবে আমাকে শাস্তি দাও তাহলে আমি রোজ তোমাকে এইভাবেই বিরক্ত করবো।
শিমু :অনেক হল, চলো এবার খাওয়া যাক।
ইমু :না, যাওয়ার ইচ্ছে করছে না।
শিমু :চল না গো।
ইমু:তোমাকে ছাড়ার ইচ্ছে করছে না।
শিমু :ছাড় বলছি। চল নইলে খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।
ইমু :হয়ে যাক ঠান্ডা।
শিমু:হাই আল্লাহ। এই পাগলা টা কে নিয়ে পারা মুশকিল।
ইমু :দেখ আগে তুমি ছাড়। তারপর আমি।
ওমা শিমু নিজে এখন ছাড়ে নি। ও বে খেয়ালি মনে তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। শিমু যেন লজ্জায় লাল হয়ে ইতস্তত করে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল।
সেদিন খাবারগুলো ঠান্ডা হওয়ার সাহস করে নি
দিল সে.
0 Response to "ইমুর প্রেম "
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন