-->
স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামী বিবেকানন্দ


ভারতবর্ষের ইতিহাসে একজন পুরুষ ভারতমাতার মূর্তরূপ তারই মধ্যে একই সাথে মিশেছি ঈশ্বর প্রেম মানবপ্রেম স্বদেশপ্রেম তার জীবন ছিল মুক্তির সাধনা সে মুক্তি জাতীয় সর্বাঙ্গীণ মুক্তির অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রে মানুষ যেন নিজেকে সকল বন্ধন এর উর্দ্ধে নিয়ে যেতে পারে সন্ন্যাসী হয়েছিল তার আরাধ্য দেবতা তাই মানুষের কল্যাণে তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল সাধনা তিনি বলতেন যে সন্ন্যাসীর মনে অপরের কল্যাণ করার ইচ্ছা নেই সে সন্ন্যাসী নয় বহুজনহিতায় বহুজনসুখায় সন্ন্যাসীর জন্ম পরের জন্য প্রাণ দিতে জীবন নিবারণ করতে সকলের ও পরমার্থিক মঙ্গল করতে এবং জ্ঞান দিয়ে সকলের মধ্যে ব্রহ্মকে জাগরিত করতে সন্ন্যাসীর জন্ম হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন সর্বমানবের আদর্শ উনবিংশ শতাব্দীর শেষপ্রান্তে দাড়িয়ে তিনি প্রথম উচ্চারণ করলেন ঈশ্বর নয় মানুষ মানুষের মধ্যে ঘটবে পূর্ণবিকাশ তিনি যুগ-যুগান্তরের প্রথা ধর্মসংস্কার ভেঙ্গে ফেলে বলে উঠলেন আমরা অমৃতের সন্তান শুধু ভারতবর্ষে নয় বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরলেন অমৃতবাণী পরাধীন ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হিসেবে কণ্ঠে বলেন আই হ্যাভ এ মেসেজ টু দ্য ওয়েস্ট সেই মেসেজ প্রাসঙ্গিকতা আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছে বর্তমান বিশ্ব বিবেকানন্দের আবির্ভাব এমন একটা সময় যখন বাংলার বুকে শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে শুরু হয়েছে নবজাগরণের যুগ কলকাতায় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া বিবেকানন্দের পিতা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন উত্তর কলকাতার নামকরা আইনজীবী তার মধ্যে ছিল না বহু মুসলমান পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রকৃতির লোক ছিলেন তিনি
বিশ্বনাথ দত্তের কন্যা সন্তান থাকলেও কোন পুত্র ছিল না স্ত্রী ভুবনেশ্বরী দেবীর কাছে প্রার্থনা করতেন অবশেষে হাজার 863 সালের 12 ই জানুয়ারি জন্ম হলো তার প্রথম পত্রের ডাকনাম বিলো, ভালো নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত । যদিও তিনি বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত স্বামী বিবেকানন্দ নামে ছেলেবেলায় নরেন্দ্রনাথ ছিলেন যেমন চঞ্চল তেমনি সাহসিক সকল বিষয় ছিল তার আদম কৌতুহল বাড়িতে গুরু মশায়ের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হলেন মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন তিনি সর্ববিষয়ে ছিলেন ক্লাসের সেরা ছাত্র কবিতার মধ্যে দয়া-মায়া মমতা ও সাহসিকতার ন্যায় বিচার প্রভৃতি নানা গুণের প্রকাশ ঘটেছিল নরেন্দ্রনাথ ছিলেন সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ছেলেবেলা থেকেই নিয়মিত শরীর চর্চা করতেন কুস্তি বক্সিং দুটি ছিল তাঁর নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তিনি চিররুগ্ন বাঙালির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন গীতা পাঠ করার চেয়ে ফুটবল খেলা বেশি উপকারী 1879 সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নরেন্দ্রনাথ জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশনের পড়ার জন্য ভর্তি হলেন এখানকার অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি ছিলেন কবি দার্শনিক হৃদয়ের মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে এসে দেশ-বিদেশের দর্শন স্বার্থের প্রতি আকৃষ্ট হলেন নরেন্দ্রনাথের সভাপতি ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ শীল পরবর্তীকালে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন দর্শনশাস্ত্রে এতোখানি ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন যে অধ্যক্ষ উইলিয়াম হস্টিংস করে তার সম্বন্ধে বলেছিলেন দর্শনশাস্ত্রের নরেন্দ্রনাথের অসাধারণ জার্মানি ও ইংল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র নেই পাশ্চাত্য দর্শনের অনুশীলনে নরেন্দ্রনাথের চিন্তার জগৎ সৃষ্টি করলো একদিকে প্রচলিত ধারণা সংস্কার অন্যদিকে নবচেতনা প্রকৃত সত্যকে জানার আশায় ব্রাহ্মসমাজের যোগ দিলেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নারীদের প্রতি মর্যাদা তাকে আকৃষ্ট করলেও অতিরিক্ত ভাবাবেগকে প্রেরিত পুরুষ হিসেবে পূজা করা তার ভালো লাগেনি কিন্তু এই সময় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপদেশ তিনি নিয়মিত ধ্যান করতে আরম্ভ করলেন আচার-ব্যবহার আহারে পোশাক-পরিচ্ছদের তিনি প্রায় ব্রহ্মচারী জীবন যাপন করতেন তখন তিনি যায় সত্যকে জানার জন্য ব্যাকুলতা ততই বাড়তে থাকে পরিচিত-অপরিচিত যাদের সাথে সাক্ষাৎ হয় তাদের তিনি জিজ্ঞাসা করতেন ঈশ্বর আছেন কি নেই যদি থাকেন তবে তার স্বরূপ কি কারোর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর পান না ক্রমশ মানুষের জিজ্ঞাসা করে চলে বারবার মনে হয় এমন কি কেউ নেই যিনি এই জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে পারেন

হাজার 880 সালে ঠাকুর রামকৃষ্ণ শিমলা পল্লীতে সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়িতে এসেছিলেন সেখানেই প্রথম রামকৃষ্ণের সাথে পরিচয় হলো নরেন্দ্রনাথের নরেন্দ্রনাথের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে থাকো তাকে দক্ষিণেশ্বরের যাবার জন্য আমন্ত্রণ জানান প্রথম পরিচয় রামকৃষ্ণ নরেন্দ্রনাথের মনে রেখাপাত করতে পারেননি পরীক্ষার ব্যস্ততার জন্য অল্প দিনে নরেন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণের কথা ভুলে যান এফএম পরীক্ষায় কোন ইচ্ছাই ছিলনা নরেন্দ্রনাথের তিনি সরাসরি বিবাহের বিরুদ্ধে নিজের অভিমত প্রকাশ করলেন রামকৃষ্ণদেবের ভবনের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার রামচন্দ্র দত্ত তিনি নরেন্দ্রনাথের দূরসম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন একদিন নরেন্দ্রনাথ তার সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে নিজের মনের সব কথা বলতেই রামচন্দ্র বলেন যদি প্রকৃত সত্যকে জানতে চাও তবে দক্ষিণেশ্বর ঠাকুর রামকৃষ্ণের কাছে চলে যাও তিনি তোমাকে প্রকৃত পথের সন্ধান দিতে পারবেন নরেন্দ্রনাথ একদিন কয়েকজন বন্ধুর সাথে দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণ রাম ঠাকুর রামকৃষ্ণের কাছে গেলেন তাকে দেখামাত্রই আনন্দে বিভোর হয়ে উঠলাম কৃষ্ণ সম্ভবত তিনি নরেন্দ্রনাথের মধ্যেকার সুপ্ত প্রতিভার তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তাই প্রথম পরিচয় রামকৃষ্ণ বলেছিলেন তুই একদিন এমন করে আমায় বলেছিলি যে আমি কতদিন ধরে তোর পথপানে চেয়ে আছি লোকের সঙ্গে কথা আমার মুখ পুড়ে গেছে আজ থেকে তোর মত যথার্থ জাগির শাসন সঙ্গে কথা করে শান্তি পাব নরেন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণের সরলতায় মুক্ত হলেও তাকে আদর্শ পুরুষ গ্রহণ করতে পারেননি তাছাড়া তার যুক্তিবাদী মন বিনা পরীক্ষায় কোন কিছু মেনে নিতে চায়নি ঠাকুরের প্রতি আকর্ষণের বারবার দক্ষিণেশ্বরে ছুটে গেল তাকে দীর্ঘদিন গ্রহণ করেননি আসলে তিনি কোন ভাবাবেগে দ্বারা পরিচালিত হন তিনি পরিপূর্ণভাবে রামকৃষ্ণের মধ্যেকার আধ্যাত্ম চেতনাকে উপলব্ধি করেছেন তখনই তিনি তার কাছে আত্ম নিবেদন করেছেন নরেন্দ্রনাথ যখন রামকৃষ্ণের কাছে যাতায়াত করতেন তখন তিনি নিয়মিত ব্রাহ্মসমাজে যেতেন কেশবচন্দ্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখের কাছে ধর্ম বলতেন তিনি তার অন্তরের সুপ্ত করতেন না তাছাড়া নরেন্দ্রনাথের অনন্ত যে ছিল ব্রাহ্ম ধর্মের আত্ম নিজেকে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না এমনকি একদিন ঠাকুর রামকৃষ্ণ তাকে যখন স্পর্শ করলেন তিনি মুহূর্তে নিজের চেতনা হারালেন মনে হলো তার সমস্ত সত্ত্বা অনন্তের মধ্যে বিলীন হয়ে গেল তিনি যেন হারিয়ে যাচ্ছে না অসীম মহাশূন্যে আতঙ্কে তার কার করে উঠলেন তুমি আমায় একি করলে আমার যে যে বাবা-মা আছে রামকৃষ্ণ পুনরায় তাকে স্পর্শ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনলেন এই ঘটনাটিকে বিবেকানন্দের মনে হয়েছিল এক ধরনের সম্মোহন ঠাকুরের প্রতি নরেন্দ্রনাথের ভালোবাসা শ্রদ্ধা থাকলেও এই ঘটনার পর থেকে সবসময় সতর্ক থাকতে ঠাকুর তাকে সমবেদনা করতে পারেন 1885 সালে ঠাকুর রামকৃষ্ণ গলার ক্যান্সারের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হল উদ্যানবাটি আরাধ্যকে সম্পন্ন করবার জন্য নরেন্দ্রনাথের আবির্ভাব নরেন্দ্রনাথ অনুভব করেছিলেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি কাশীপুর উদ্যানবাটী দেশে অন্য ভক্তদের সাথে ঠাকুরের শ্রীচরনে উদ্যানবাটি তেরে নাম কৃষ্ণভক্ত শিশুদের আশ্রম আশ্রয় নিলেন প্রথমদিকে মাঝে মাঝে যেতেন ধীরে ধীরে তাও বন্ধ হয়ে গেল ভক্তরা সাধন-ভজন আলোচনা করতেন প্রকৃতপক্ষে উত্তরকালে রামকৃষ্ণ গড়ে উঠেছিল এখানেই তার সূচনা হয় ঠাকুর রামকৃষ্ণ ছিলেন কিন্তু তিনি জানতেন গৃহীদের পক্ষে তাঁর উপদেশ বাণী কে জগতের মানুষের কাছে প্রচার করা সম্ভব নয় যারা সর্বদা সন্ন্যাসী সংসারের সকল বন্ধন ছিন্ন করতে পেরেছে একমাত্র তারাই পারবে সব বাধাকে অতিক্রম করে অসাধ্যকে সম্পাদন করতে তিনি তাঁর শিষ্যদের মধ্যে 18 জন কে সম্মান প্রদান করলেন নিজের হাতে তাদের গৈরিক বস্ত্র তুলে দিয়ে বললেন তোরা সম্পূর্ণ নীরব হয়ে ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে রাজপথে ভিক্ষা করতে পারবি কি
গুরু গুরুরা দেশে নরেন্দ্রনাথ ও অন্য সব শিষ্যরা পথে বেরিয়ে পড়লেন সংসার জীবনের শেষ পর্যন্ত কঠিন হয়ে গেল সন্ন্যাস গ্রহণের পর বিবেকানন্দের সমস্ত অন্তর মানুষের দুঃখ বেদনা দূর করার আকাঙ্ক্ষায় ব্যাকুল হয়ে উঠলো হাজার 886 সালের এপ্রিল মাসে স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে অভিমুখে যাত্রা করলেন সেখান থেকে গেলেন বুদ্ধগয়ায় এখানে এসেই তার মধ্যে জেগে উঠল বুদ্ধির মুক্তি তীব্র আকাঙ্ক্ষা বুদ্ধের মত মানুষকে সকল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ দেখার জন্যই তার আবির্ভাব এখানে বোধিসত্ত্বের মন্দিরে হয়ে গেলেন স্বামীজি তিনদিন পর ভঙ্গ হলো তারপর আবার ফিরে এলেন কাশীপুর উদ্যানবাটী ঠাকুর গুরুতর অসুস্থ একদিন তিনি বিবেকানন্দকে জিজ্ঞাসা করলেন নরেন তুই কি চাস নরেন্দ্রনাথ উত্তর দিলেন গুরুদেবের মত সর্বদা নির্বিকল্প সচ্চিদানন্দ সাগরে ডুবে যায় নরেন্দ্রনাথের এই কথা বললেন ওই কথা বলতে তোর লজ্জা করেনা কোথায় তুই বটগাছের মত বেড়ে উঠেছে তা না তুই নিজের মুক্তির জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে অনুভব করে লজ্জিত হলে নরেন্দ্রনাথ প্রকৃতপক্ষে এই শিক্ষায় তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল তখনই তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বহুজনসুখায় করিব 886 সালের 15 আগস্ট রামকৃষ্ণ দেহ ত্যাগ করলেন নরেন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণ পেয়েছিলেন পাঁচ বছর শেষ কোনদিনই তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ হয়নি কিন্তু তারই মধ্যে রামকৃষ্ণের আর্থিক সম্পদ তার উদয় ধর্মমত সর্বজীবে প্রতি দয়া সর্বধর্ম সমন্বয় আদর্শ কে আত্মস্থ করেছিলেন তার মধ্যে ভারতবর্ষের সব মহাপুরুষদের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে তিনি একাধারে শঙ্করের অদ্ভুত মস্তিষ্ক এবং চৈতন্যের অদ্ভুত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হৃদয় ভারতীয় সকলের জন্য কাঁদিবে তিনি সকল বিরোধী সম্প্রদায়ের সমন্বয় সাধন করিবেন এই ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং আমি অনেক বর্ষ ধরিয়া তাহার চরণ তলে বসিয়া শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য লাভ করেছি রামকৃষ্ণ দিলেও তার শিষ্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তাঁর মৃত্যুর পর ঠাকুরের পবিত্র কে সাক্ষী রেখে নরেন্দ্রনাথ ও তার সঙ্গীরা সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন ঠাকুরের মৃত্যুর পর কাশীপুর উদ্যানবাটী ছেড়ে দিতে হলো বিবেকানন্দ দেখলেন এ অবস্থায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তবে শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শ প্রচার এর পথে আনার ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে তাছাড়া এসব সন্ন্যাসীরা পথিকের মত আকুল পাথার ভেসে যাবে রামকৃষ্ণের বরানগরে একেবারে ঠিক করেছিল সেখানে উঠলে সেখানকার অবস্থা বর্ণনা করে একজন লিখেছেন নিচের তলার ব্যবহার করা যায়না উপরতলার ঘর কোনদিন কোনদিন জুটেনা থালা-বাসন তো কিছুই নেই বাগানে লাগছিল কলাপাতার উপায় ছিল না



শেষে মান কচুর পাতায় হাত দিলে খেতে হতো তেলাকুচার পাতা সিদ্ধ আর ভাত কিছু খেলে গলা কুটকুট করত এত যে কষ্ট হচ্ছিল না এত দুঃখ কষ্টের মধ্যে সকলকে আনন্দ উৎসাহে প্রাণশক্তিতে ভরিয়ে রেখেছিলেন বিবেকানন্দ মানে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সংঘের প্রধান সেদিনকার মঠের সন্ন্যাসীদের মধ্যে যে সাধনা কষ্টসহিষ্ণু তা প্রবল শক্তি জেগে উঠেছিল তারই প্রভাবে একদিন তারা সকলেই হয়ে উঠেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ আদর্শ শিষ্য কিছুদিন থাকার পর শুরু হলো তার পরিব্রাজক জীবন তিনি তার সতীর্থদের ডাক দিয়ে বললেন এবারে আমাদের প্রচারে নামতে হবে ভারতবর্ষকে দেখতে হবে বুঝতে হবে এই লক্ষ-কোটি নর-নারীর দৈনন্দিন জীবনের স্তরে স্তরে কত বেদনা কত সংস্কারের জঞ্জাল পুঞ্জিভূত হয়ে আছে এদের সাধনা স্বার্থত্যাগের কথা নয় শরবত আগের কথা 1888 সালে শুরু হলো বিবেকানন্দের ভারত পরিক্রমা দীর্ঘ পাঁচ বছরে ভারতবর্ষে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়ালেন দেখলেন ভারতবর্ষের প্রকৃত রূপ ধর্মের নামে ভন্ডামি অধর্ম দরিদ্র শিক্ষা সংস্কার বৃহত্তম মানব সমাজে বাস করছে এইসব দৃশ্য তাকে বিচলিত করতো তাই নয় কেমন করে এর থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় সে বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতেন এই পরিব্রাজক জীবনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলেছিলেন বিবেকানন্দ তিনি যে শুধু সনাতন হিন্দু ধর্মের বাণী প্রচার করতেন তাই নয় লোকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দিতেন নিজের করতেন একবার তিনি ক্ষেত্রের রাজদরবারে অতিথি ছিলেন সন্ধ্যেবেলায় সঙ্গীত আয়োজন করেছেন বাইজি গান আরম্ভ করতেই তিনি উঠে পড়লেন সন্ন্যাসী পক্ষে উপস্থিত থাকা উচিত বাইজিত ভাবে গান প্রভু তুমি আমার নাম দোস্তী নিও না তোমার নাম সমদর্শী আমাকে উদ্ধার করো সামনে বুঝতে পারেনি মধ্যে বিরাজমান সাথে সাথে নিজে বুঝতে পারলেন অনুশোচনায় নিজেকে ধিক্কার দিলেন নারী-পুরুষদের ভেদ রয়েছে তিনি পুনরায় নিজের আসনে বসলেন সংগীত অনুষ্ঠানের শেষে বাড়ির কাছে যে শিক্ষা পেয়েছেন তার জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিলেন সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা সমবেদনা পরবর্তী জীবনের আরও প্রবল হয়ে উঠেছিল তারই প্রমাণ পায় রামকৃষ্ণানন্দ কে একটি চিঠি দক্ষিণেশ্বরের মহাপাপীদের জন্য পুণ্যবানদের ভেদাভেদ সংসারের মধ্যে থাকুক তিরুপতি ঠাকুর ঘরে গিয়ে ওই নির্যাতিতাদের যতই কম হয় ততই মঙ্গল জাতি ব্যবসায়ীদের ঠাকুরকে কি বুঝবে প্রভুর কাছে প্রার্থনা যে শত শত বিশ্বাস তার পায়ে মাথা নোয়াতে একজন ভদ্রলোক না আসে নাই আমি যখন যেখানে গিয়েছেন তাঁর সান্নিধ্যে এসেছে তার ব্যক্তিত্ব পাণ্ডিত্যপূর্ণ মুখমন্ডলে সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন তিনি যখন দক্ষিণ ভারতের ছিলেন অধ্যাপক পন্ডিত তাকে বলেন এদেশে ধর্ম প্রচার করে আপনি বিশেষ সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না আপনার উদাহরণসমূহ আমাদের দেশের লোক সহজে বুঝবে না আপনি এদের মধ্যে শক্তি হয় না করে পাশ্চাত্য দেশে যান সেখানকার লোকদের প্রতি সম্মান করতে জানে আপনি নিশ্চয়ই পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সভ্যতার উপর সনাতন ধর্মের অপূর্ব জ্ঞানালোকের নিক্ষেপ করে এক অভিনব জানতে পারবেন শেষ পর্যন্ত শিশুদের একান্ত অনুরোধ এই তিনি বললেনঃ তোমরা সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে অর্থ ভিক্ষা করো রাজা নবাবের অর্থ নয় সাধারণ মানুষের ধর্ম সভায় যোগ দিতে চাই একদিন স্বপ্নে দেখলেন রামকৃষ্ণ যেন তাকে সমুদ্র পার হয়ে বিদেশযাত্রার ইঙ্গিত দিলেন মায়ের প্রসব ব্যথা দূর হয়ে গেল স্থানীয় উৎসাহী যাত্রার আয়োজন করেছেন এমন সময় সে তাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গেল খেতরিতে ।
স্বামীজীর আশীর্বাদ মহারাজের পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে তার অন্নপ্রাশন মহারাজার আমেরিকা যাত্রার আয়োজন করলেন বোম্বাইতে মহারাজ মুন্সির জন্য বহুমূল্য সময়ের আলখাল্লা ও পাগলি তৈরি করালেন তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিলেন একটি জাহাজে প্রথম শ্রেণীর করা হলো 893 সালের 31 এ মেয়ে স্বামীজির শিকাগো অভিমুখে যাত্রা করলেন কয়েকদিনের মধ্যে জাহাজের অধিকাংশ যাত্রী সাথে তার পরিচয় গড়ে উঠল সিঙ্গাপুর হংকং একদিনের জন্য অবস্থান করল এই সুযোগ স্বামীজীর দক্ষিণ চীনের রাজধানী ঘুরে এলেন তার গভীর দৃষ্টি দিয়ে প্রত্যক্ষ করলেন চীনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ভারত বর্ষ chin2 প্রাচীন সভ্যতার তুলনা করে বললেন তৃণ ভারতবাসী যেসব অগ্রসর হতে পারছেনা দরিদ্রতার প্রধান কারণ যখন আমেরিকায় এসে পৌছলেন তখন তিনি মাত্র তার কাছে ছিল না কোনো নিমন্ত্রণপত্র ছিলনা প্রয়োজনীয় অর্থ ভারত বর্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কয়েক জনকে মনোনীত করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মের প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার জ্ঞান চক্রবর্তী ছাড়া বৌদ্ধধর্ম জৈনধর্ম বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিনিধি কিন্তু হিন্দু ধর্মের কেউ ছিলনা অপরিচিত অজানা পথে বাধা উপেক্ষা করে রইলেন স্বামীজি ধর্ম সম্মেলন এর বেশ কিছুদিন বাকি ছিল কিভাবে ধর্ম সম্মেলনে যোগ দেবেন তার চিন্তায় বিভোর হয়েছিলেন সে সময় তার সাথে পরিচয় হলো হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এইচ ডি নিজের ব্যক্তিত্ব তার পান্ডিত্যের মুগ্ধ হলেন স্বামীজীর আমেরিকার উদ্দেশ্য তার অসুবিধার কথা শুনে ধর্ম মহাসভা সাথে যুক্ত একটি চিঠি লিখে দিলেন রাইট লিখেছিলেন অজ্ঞাতনামা হিন্দু সন্ন্যাসী আমাদের চেয়েও বেশি পন্ডিত টিকেট কিনে দিলেন স্বামী যখন শিকাগো শহরে এসে পৌছলেন তখন দিন শেষে এসেছিল ধর্ম মহাসভা ঠিকানা জানেন না একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন তার স্বামীকে উপহাস করার জন্য কোন আশ্রম পেলেন না নিরুপায় হয়ে মালগুদাম এর সামনে পড়ে থাকা একটি বড় প্যাকিং বাক্সের মধ্যে বসে রইলেন বাইরে প্রচন্ড ক্ষুধা দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে আরম্ভ করলেন কিন্তু কারো কাছ থেকে একমুঠো আপেলের না ক্লান্ত অবসন্ন দেহে একটি বাড়ির সামনে এসে পড়লেন সেই বাড়িতে থাকতেন জর্জ ডব্লিউ হেল নামে একজন বয়স্ক মহিলার হলো তিনি স্বামীকে নিজের ঘরে নিয়ে এসে যথেষ্ট আদর-যত্ন করলেন ধর্ম সভায় যোগদানের ব্যাপারে এই ভদ্রমহিলা স্বামীজীকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে নিজেকে করেছিলেন প্রতিনিধি হিসেবে ধর্মসভার অন্তর্ভুক্ত অন্তর্ভুক্ত হলেন এই ব্যাপারে প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা স্বামীজীর নিজেই লিখে গিয়েছেন সকলেই বক্তৃতা প্রস্তুত করিয়া আনিয়াছেন আমি নির্বোধ আমি কিছুই প্রস্তুত করিয়া নাই
দেবী সরস্বতী কে প্রণাম করিয়া অগ্রসর হলাম আমার পরিচয় দিলেন আমার গৈরিক বসনে শ্রোতা বর্গের চিত্র কিছু আকৃষ্ট হয়েছিল আমি আমেরিকা বাসীদের কে ধন্যবাদ দিয়ে আরো দুই এক কথা বলে একটা ক্ষুদ্র বক্তৃতা করলাম তখন আমি আমেরিকাবাসী ভগবান বলে সম্মোধন করলাম তখন দুই মিনিট ধরে এমন করো তাহলে ধনী হইতে লাগিল যে কানে কালা করিয়া দেয় তারপর আমি বলতে আরম্ভ করিলাম যখন আমার বলা শেষ হইল আমি তখন হৃদয়ের আবেগ এই একেবারে যেন অবশ হইয়া পড়িলাম পরদিন সব খবরের কাগজ বলিতে লাগিল আমরা বক্তৃতায় সেদিন সকলের প্রাণে লাগি আছে সুতরাং তখন সমগ্র আমেরিকা আমাকে জানিতে পারিল অ্যানি বেসান্ত লিখেছিলেন ভারতীয় সূর্যের মতো ভাস্কর স্বামী বিবেকানন্দ আমার দৃষ্টিপথে প্রতিবাদ হয়েছিলেন প্রথম দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ সেদিন পরাধীন ভারতবর্ষে প্রতিনিধি হিসেবে দৃপ্তকন্ঠে সুমহান আদর্শকে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের সামনে তার মধ্যে এক দৈব শক্তি জেগে উঠেছিল সেদিন তার মধ্যে পশ্চাত্যের মানুষ দেখেছিলেন ভারতের মহিমান্বিত শিকাগো ধর্ম সভা শেষ হবার পর হিন্দু ধর্ম প্রসঙ্গে বক্তৃতা দিতে গিয়ে নিজেকে নিবৃত রাখেননি পাশ্চাত্য সভ্যতার শ্রেষ্ঠ গুণ তাকে উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হয়েছিল তিনি দেখেছিলেন তার বিজ্ঞানের অগ্রগতি তাই তিনি লিখেছিলেন প্রাচ্যকে নিতে হবে প্রার্থীর দুই সম্মেলনে প্রকৃত সভ্যতা ছিলেন সেখানকার বড় বড় শহর ঘুরে ঘুরে তিনি বক্তৃতা দিতেন আমেরিকার শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল তার ভক্ত হয়ে ওঠে কিন্তু ভারতীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কিছু মানুষকে প্রভাবিত হয়ে ওঠে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয় আমেরিকায় থাকার সময় হেনরিয়েটা মুলার নামে এক ইংরেজ মহিলার আমন্ত্রণে 1895 সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ইংল্যান্ডে পৌছলেন কয়েক মাস পরে আবার আমেরিকায় যেতে হয় চার মাস পর পুনরায় ফিরে আসেন প্রায় সাত মাস ইংল্যান্ডে ছিলেন অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি অভূতপূর্ব খ্যাতি অর্জন করেন এখানেই পরিচয় হয় মারগারেটের সাথে পরবর্তীকালে ভগ্নি নিবেদিতা 1896 সালে 16 ডিসেম্বর দিকে যাত্রা শুরু করলেন দীর্ঘ চার বছর বিদেশ ভ্রমণ শেষ হলো এবার কেন্দ্র ভারত বর্ষ হাজার আটশো সাতান্ন সালের 15 জানুয়ারি কলম্বোয় এসে পৌঁছান শুধুমাত্র ইউরোপ-আমেরিকায় তুলে ধরে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেননি তার ঐতিহাসিক সাফল্য ভারতবর্ষের মানুষ ফিরে পেয়েছিল তার আত্মবিশ্বাস আত্মমর্যাদা যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার দারিদ্র্যের মধ্যে ভারতবর্ষের মানুষ হারিয়ে ফেলেছিল নিজেকে সেই দিন তারই অনুপ্রেরণায় ভারতবর্ষের মানুষ নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করল জানুয়ারি কলকাতায় এসে পৌছলেন সমস্ত কলকাতা উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা তথা ভারতবর্ষের মানুষ সেদিন তাদের অন্তর শ্রদ্ধা ভালোবাসা উজাড় করে সমাজের পদপ্রান্তে দেশে ফিরে এলেন তিনি নিজেও জানতেন দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলবে যে গুরু দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেছেন এখানে বিশ্রাম নেওয়ার মতো কোনো অবকাশ নেই তিনি দেশের যুবসমাজকে আহ্বান করে বলেছিলেন আমি তোমাদের নিকট অত্যাচারী তোদের জন্য সহানুভূতি প্রাণপণ চেষ্টা করতেছি তোমরা সারা জীবন 130 কোটি ভারতবর্ষের উদ্ধারের ব্রত গ্রহণ করো আমি সূচনা করিয়াছি তোমরা সম্পন্ন করবে জাতির কল্যাণের এই আদর্শকে সামনে রেখে তিনি দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের সামনে কর্মযোগের বাণী প্রচার করতে চেয়েছেন এবং এই কাজের জন্য প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় মাঠের যেখান থেকে তিনি শুধু কর্মযোগের সুমহান বাণী তুলে ধরতে পারবে দেশ-বিদেশে মানুষের কাছে 1897 সালের পয়লা মে বলরামপুর বাড়িতে স্বামীজীর আহ্বান শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্ত ও সন্ন্যাসীরা সকলের মিলিত হলেন স্বামীজি বললেন নানান বেশ করে আমার ধারণা হয়েছে সংঘ ব্যতীত কোন বড় কাজ হতে পারেনা প্রতিষ্ঠিত হল রামকৃষ্ণ মিশন বলা হল মানবের হিতার্থে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ যেসকল তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন যে কাজে তাহার জীবন প্রতিপাদিত হইয়াছে তাহার প্রচার এবং মানুষের দৈহিক মানসিক ও আর্থিক উন্নতি কল্পে যাহাতে সেই সকল তথ্য প্রযুক্তি হইতে পারে তবে সাহায্য করে মিশনের উদ্দেশ্য গঙ্গাতীরে জমি কেনা হলো এখানে 1898 সালের 9 ডিসেম্বর শ্রীরামকৃষ্ণ স্থাপিত হলো বিবেকানন্দ আঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে উঠে রামকৃষ্ণ মিশনকে সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্থান করতে চেয়েছিলেন' হেনরিয়েটা মুলার প্রদত্ত অর্থ জমি কেনা হয় এবং ভবন নির্মাণ করা হয় এদিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হতো তার শরীর ভেঙে পড়ছিল মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ছে নির্দেশে দার্জিলিং 1898 সালে কলকাতায় কলকাতায় অসুস্থ মানুষদের সেবা রামকৃষ্ণের আদর্শ হয়ে উঠল স্বামীজীর মধ্যে হাজার 999 সালে দ্বিতীয়বারের জন্য ইউরোপ-আমেরিকা ভ্রমণে বের হলেন এবার তার সাথে ছিলেন স্বামী তুরীয়ানন্দ তার কন্যা নিবেদিতা সর্বত্র পূজিত হয়েছেন ভারতবর্ষের এক মহামানব হিসেবে তিনি পাশ্চাত্যের মানুষের কাছে উপনিষদের বাণী কে নতুন ভাবে প্রচার করেছিলেন তিনি বললেন মানুষের অন্তরে আছে তাকে জাগিয়ে তোলার শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইংল্যান্ড আমেরিকা ছাড়াও মিশর ভ্রমণ শেষ করে 9 ডিসেম্বর ফিরে এলেন হাজার 900 এক সালের 6 ফেব্রুয়ারি বেলুড়মঠে স্ট্রিট রেজিস্ট্রি হয় 10 ফেব্রুয়ারি মাঠের রেজিস্ট্রির সর্বসম্মতিক্রমে প্রার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে স্বামী ব্রহ্মানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ এবং স্বামী সারদানন্দ সাধারণ সম্পাদক হন সমস্ত কাজকর্ম থেকে প্রকৃতপক্ষে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যান কেন পরামর্শ চাইলে তিনি তাদের বুদ্ধি মত কাজ করার পরামর্শ দিতেন অধ্যাত্মিক পরিশ্রমের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছিল বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকতেন হাজার 970 সালের জানুয়ারি মাসে জাপানের ডাক্তার বুদ্ধগয়ায় গেলেন সেখান থেকে কাশি কিছুদিন পর আবার ঘুরে ফিরে ফিরে এলেন শরীর একেবারে ভেঙে পড়েছিল হাজার 930 জানুয়ারি নিজে হাতে ধরিয়ে দিলেন একজন জিজ্ঞাসা করল আমরা কি আপনার সেবা গ্রহণ করতে পারি স্বামীজি বলেন শিশুদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন 1900 সালের চৌঠা জুলাই সকাল থেকেই ছিলেন সকলের সঙ্গে একসাথে খেয়ে সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে বসলেন রাত 9:50 এর মধ্যে ডুবে গেলেন তখন তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র 39 বছর 6 মাস

0 Response to "স্বামী বিবেকানন্দ"

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel